আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): সোমবার আর্জেন্টিনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এস্কুইভেল জানান, তিনি তার আনুষ্ঠানিক আবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আর্জেন্টিনার উচিত আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা এবং আইসিসি যে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে, তা কার্যকর করা।
দিনি বলেন, “যদি তিনি (নেতানিয়াহু) এখানে আসে প্রেসিডেন্ট মিলেয়ের আমন্ত্রণে, তাহলে অবশ্যই প্রতিরোধের মুখে পড়বে। আমরা আশা করি, তিনি এই দেশে না আসে।”
তিনি সরকারের স্মরণ করিয়ে দেন যে, আর্জেন্টিনা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এখতিয়ারকে স্বীকৃতি দেয়, ফলে আদালতের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।
পেরেজের ভাষায়, “ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং এতে আনুমানিক ২০ হাজার ০০০ শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে জবাবদিহি এড়ানো সম্ভব নয়।”
পেরেজ প্রেসিডেন্ট মিলেয়ের সরকারের সমালোচনা করে বলেন, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর না করার অবস্থান গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
তিনি বলেন, “আদালতের অবস্থান স্পষ্ট। প্রেসিডেন্টের অস্বীকৃতি গণতন্ত্রের জন্য একটি নেতিবাচক বার্তা এবং এটি আর্জেন্টিনার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ক্রমবর্ধমান একত্রীকরণের ইঙ্গিত দেয়।”
লাতিন আমেরিকায় মানবাধিকার আন্দোলনের একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে পেরেজ ১৯৮০ সালে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ছিলেন আর্জেন্টিনার সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে অহিংস প্রতিরোধের অগ্রভাগে।
Your Comment